শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম এখনও আছড়ে পড়েনি। তবে তার আগেই প্রবল বৃষ্টির কবলে পড়েছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ু। এমনকি ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে রাজ্যটির রাজধানী চেন্নাইয়ের অনেক অংশ ডুবে গেছে। এমনকি রানওয়ে পানিতে প্লাবিত হওয়ায় সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে চেন্নাই বিমানবন্দর।
এতে করে কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং বেশ কিছু প্লেন গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে। আজ সোমবার ৪ ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে অগ্রসর হওয়ার আগে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম এখন তামিলনাড়ুর উত্তর উপকূলের আরও কাছে চলে এসেছে। এতে ভারী বৃষ্টির কারণে চেন্নাইতে মারাত্মক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
মূলত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এই ঘূর্ণিঝড় অন্ধপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে আছড়ে পড়ার কথা। তবে তার আগেই তামিলনাড়ুতে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে বেহাল অবস্থা চেন্নাইয়ে। তামিলনাড়ুর এই রাজধানী শহর কার্যত পানিতে ভেসে গেছে। রাস্তায় এতোটাই পানি জমেছে যে, গাড়ি পর্যন্ত ডুবে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ শহরের স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে এবং লোকেদের বাড়ির ভেতরে থাকতে বলছে। তামিলনাড়ু সরকার সোমবার ছুটির দিন ঘোষণা করেছে। এছাড়া চেন্নাইয়ের রাস্তা পানিতে প্লাবিত হওয়ার বহু ভিডিও ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
এনডিটিভি বলছে, চেন্নাই বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টির পানি বিমানবন্দরের রানওয়েতে প্রবেশ করায় বেশ কিছু ফ্লাইট গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে। মূলত বিমানবন্দরের অনেকখানি অংশ পানিতে ভেসে যাওয়ায় প্লেন ওঠা-নামার মতো অবস্থাও ছিল না।
বাধ্য হয়ে ১২টি প্লেনকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া চেন্নাইতে প্রবল বেগে বাতাসও বইছে। এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ রাত ১১টা পর্যন্ত বিমানবন্দরটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) আগামী ২৪ ঘণ্টা চেন্নাই এবং আশপাশের অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আগামীকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে নেলোর এবং মাছিলিপত্তমের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তারপর সেটি উত্তর তামিলনাড়ুর দিকে যাবে। তখন সেখানে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০০ কিলোমিটারের মতো। যে জায়গায় ঘূর্ণিঝড়টির আছড়ে পড়ার কথা, তা চেন্নাই থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে। এ বিষয়ে ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলো ও ওড়িশাকে ইতোমধ্যেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।